02 October 2019

অব্যক্ত


আমরা হাঁটি এবং হাঁটি।
সহজ সরল রাস্তা থেকে
বন্ধুর বৃক্ষবহুল রাস্তা।
দেখতে দেখতে হাসি
সেই মেয়েটির যে
কেবলই হাসে এবং হাসে।
হাসতে হাসতে সে গড়িয়ে পড়ে
শব্দঝংকার যে ঝরে পড়ে
তারপর আমরা বিস্মৃত হই।
আমরা গাছ দেখি।
ফুল এবং পাখি দেখি।
হাসি দেখি এবং হাসি।
সেই মেয়েটি, শুধু হাসে।
মেয়েটি হাসে এবং হাঁটে।
অন্ধকারে তার ছায়া
আবেগসঞ্চার করে।
অথবা মুগ্ধতার সীমায়
পৌছে আমরা মানুষ হই।
আবার, আমরা হাঁটি।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে
মুগ্ধ হই এবং তারপর,
আবার আমরা ছায়া দেখি।
আবার কষ্ট পাই।
হাসি এবং কষ্ট।
একসাথে পাওয়ার চেষ্টা।
আমরা হাঁটি এবং হাঁটি।
চাঁদের আলোয় যে
রূপ ছলকে উঠে,
মেয়েটির তাই কিন্তু
আমাদের শব্দশূন্য করে।
অথবা জ্বলজ্বল করে
জ্বলতে থাকা তারাদের
মতো। জ্বলে থাকে
হৃদয়ে অথবা হাসিতে।
শুধুই জ্বলে থাকে।
সকাল এলেই যাকে
আর দেখা যায় না।
অথবা দেখতে
চায় না কেউ।
সেই সূর্য ছেড়ে
তারা বা চাঁদ কেউ
দেখে না।
কিন্তু তখনও
জ্বলজ্বল করে হাসি।
হ্যা সেই মেয়েটির হাসি।
যা আমাদের উদ্বেলিত করে।
ঝনঝন করে ভেঙে পরা
কাঁচের মতো শব্দ।
পাশে কোন ট্রাক
এবং তার শব্দ ছাপিয়ে
যে হাসি আমরা শুনি।
শুনি এবং উদ্বেলিত হই।
আমরা শুনি হাসি।
যে হাসি ছলকে পড়ে
রোজ রাতে চাঁদ বা তারার
মতই, বা জোছনার মতো।
হাসি শুনে আমরা ক্লান্ত হইনা।
হাসি এবং হাঁটি।
হাঁটি এবং হাসি।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা
ক্লান্ত হই। কিন্তু
সেই হাসি, সেই শব্দ
ঝনঝন করে আমাদের কানে।
                                                       
১২.০২.২০০৯

No comments: