আসো। হাত
ধরো। একসাথে বৃষ্টিতে ভিজি। তোমার আমার সমস্ত চেতনা ধুয়ে যাক। মুছে যাক যত শোক
গ্লানি হতাশা ইতিহাস। এমনি বৃষ্টির দিনে আমি আর তুমি একসাথে, একটি গাছের
নিচে, বৃষ্টিতে
ভিজতে না চাওয়ার পরও,
বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম আমি, তুমি, গাছ, টিনের চালা, রাস্তা, বেঞ্চ। আর
তুমি বললা- ‘হুত
বৃষ্টি।’ আমি
বললাম- ‘বাহ্
বৃষ্টি।’ তারপর
কিন্তু আমরা দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। ঝমঝম, ঝমঝম, ঝম। একটানা বৃষ্টির শব্দে আবার মাথায়
ভোঁতা যন্ত্রনা। আমরা আবার রাস্তায় বেরুলাম। বৃষ্টি আর ঠান্ডা বাতাস। তুমি বললে- ‘শীত করছে।’ আমি তোমাকে
দুহাতে আঁকড়ে ধরলাম। ধরনী যেভাবে সমস্ত সৃষ্টিকে ধরে রাখে। এভাবেই হয়ত, চিরকাল ধরে
রাখতে চেয়েছিলাম। বৃষ্টিতে তুমি চুপসে গেলে। ঈশ্বরের সৃষ্টি তোমার প্রতিটি ভাঁজ
স্পষ্ট প্রতিয়মান হলো। তুমি পিছলে গেলে।
তখনো
বৃষ্টি। একটানা ঝুমঝুম,
ঝুমঝুম, ঝুম।
তিনটি কদম কিনেছিলাম। একটা নষ্ট হলো। তোমাকে দেবো। বৃষ্টি ছিলো। একটানা। তুমি
খোঁপা টানটান করে নেমে এলে। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি। ছিটকে ছিটকে আসছে। ঝপঝপ
রিক্সা। একটা গাছের নিচে বেঞ্চে। আমি-তুমি। কদম হাতে পাওয়ার পর তুমি উদ্বেলিত।
তোমার উচ্ছাস ছাপিয়ে গেলো বৃষ্টির শব্দ। ঝমঝমঝুমঝুম। আমি বললাম- ‘কদম
ভালোবাসি।’ আর
তুমিও। আমরা দুজনেই কদমফুল ভালোবাসলাম। আর বৃষ্টির শব্দ, সব কিছু
ছাপিয়ে আমাদের কাছে মধুময় হলো। তুমি বললে- ‘ বৃষ্টি এতো ভালো কেনো?’ আর তুমি।
বৃষ্টির পর বৃষ্টি হচ্ছে। ঝুমঝুমঝুমঝুম। আমি-তুমি একসাথে, কদমফুল
হাতে।
২৮.০৭.২০০৯
No comments:
Post a Comment