দেখো, চাঁদেরা পুরোপুরি
উঠতে চায় না আকাশে। পাখিরা চায় না উড়তে ব্যোমে পুরোপুরি। তবু নক্ষত্রের ছোট্ট আলো,
আলো ছড়ায় দিকেদিক সাধ্যমতো। তুমি আকাশ হও...
আমি উড়ি তাতে... কোনো কৃপণতা ছাড়া। সকাল হয়, সূর্য ওঠে, পাখিরা আবার
ব্যস্ত হয়, বাতাস বয়।
শান্ত-স্নিগ্ধ-সুখি বাতাস। সে বাতাস বড় বিষণ্ন বাজে, যদি তুমি না দেখো...
যখন তুমি কথা বলো না, সমস্ত শব্দরা
মূঢ়-মূক-বধির হয়... তোমার গান না হলে মনে হয়, সকাল হয়নি এখনো... পাখিরা গাইছে না। তুমি থাকো পাশে। দেখো
পাখিরা জীবিত হচ্ছে, গান গাইছে।
জানো, এই যন্ত্রণা
উপলব্ধির উর্দ্ধে। তোমার কণ্ঠ না শুনে, আমি কিভাবে বাঁচি, আমাকে শিখাও। তুমি কেবল আমাকে শিখিয়েছো অনুভূতির লেনদেনে সিক্ত হতে। শিখাওনি...
যখন ঘুমন্ত থাকি, তখন তুমি স্বপ্নে আসো। স্বপ্নের সবুজ ঘাসে তুমি হাঁটো। তোমার খোলাচুল নীল মনে
হয়... আকাশের সাথে মিশে। সবুজ ঘাসের ছায়ায় যার মিষ্টি ছায়া পরে। তাই ঘুমাইনা...
জেগে থাকি। যখন জেগে থাকি... তখন ভাসি কল্পনায়। তুমি তোমার ক্লান্ত চুল ছড়াচ্ছো...
আমি দেখি। কি অসম্ভব টান আমাকে টানে। তোমার চুল... সে মহার্ঘ্য বস্তু। আরাধ্য
তোমার চোখ... তার লক্ষ্মী চাহনি।
আমি শুধু তাকাই তার দিকে। কী অসম্ভব ভালো লাগা... আমার
মধ্যে জেগে উঠে। বহু দিন পর জাগে চর... স্রোতে। আমি আমার মধ্যে হারাই। আমাকে
খুঁজতে গিয়ে দেখি... সেখানে তুমি। তুমিই কি আমি?
জানি না... জানতেও চাই না। শুধু জানি এইটুক... আমার
অস্তিত্বের অনুভবে থাক... জীবন্ত তোমার পদছাপ।
০২.১০.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
No comments:
Post a Comment