18 April 2017

ইচ্ছে

যদি পরজন্মে ঈশ্বর কখনো ডেকে তুলেন আমায়,
অগ্নিকন্ঠে বলেন- ‘হারামী পূনর্সৃষ্টিতে কি হতে চাস?’
আমার চোখের সামনে ভাসবে তোমার চোখ।
ততোধিক মোলায়েম কন্ঠে বলব, ‘মহাপ্রভু’!
হে মহাপ্রভু, আমার পূর্ববতী সকল ভাল বা খারাপ
বা ভালো ও খারাপ তুমি সমান দুই ভাগ করো।
সে সমান দুই ভাগ দিয়ে তুমি আবার বানাও
নীল দুই চোখ। সেই চোখ দুটি, তুমি তারে দাও।
হয়ত আমি মিলিয়ে যাবো অতল অন্ধকারে
আমার সমস্ত হয়ে থাক নীল দুটি চোখ।

একটা বজ্রপাত হবে।
ঈশ্বর গর্জন করে বলবেন- ‘বদমাশ। কাব্য করস ?!’
বজ্রপাতের দিকে দৃকপাত করে দেখি মেঘমঞ্জরী।
মেঘ দেখে মনে পরে, তোমার চুল যেন উড়ছে আকাশে।
আমি বলবো- হে মহান প্রভু, হে জগৎসংসারের ত্রাতা,
তুমি আমায় মেঘ বানাও। পেঁজা তুলার মতো।
অসম্ভব সাদা আর সুগন্ধী। তারপর সে মেঘআমি কে,
পাঠাও আবার ওই খোলা চুলে। যে চুল দেখে,
সন্ধ্যা সহসাই সকাল হত। আর সকাল থাকত মেঘলা।
আমি মেঘের মতো উড়তে চাই পূর্ববর্তীর চুলে।

গতজন্মে তোমার কিছু ভুলের জন্য ও,
প্রায়সই আমার চোখের আড়াল হতো।
এবারে এমন করো প্রভু, যেনো আমাকে
ছুঁড়ে ফেলতে চাইলেও আমি থাকব ওরই হয়ে।
আমাকে বাদ দিতে চাইলেও আমি আবার হবো।
আমাকে ছাড়া ও হবে একটা শাকচুন্নি ডাইনি।

প্রভু, নিঃসংকোচে প্রকাশিত হও, নিঃস্ব মাঝে বারবার।   

০১.০৪.২০০৯
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০] 

No comments: