টিকে নাই কেউ টিকে নাই। কেউ টিকবেনা।
কবি ভুসুকু বলেন- আজ আমি বাঙালী হলাম।
যেদিন তিনি বাঙালী হলেন, সেদিন থেকেই;
ঠিক সেদিন থেকেই-বাঙাল বাঙাল বাঙাল,
শব্দে প্রতিশব্দে আকাশ বাতাস কম্পিত।
আমার জাতি আমার দেশ আজ
তোমার হাতে বন্দী।
ভাঙো ভাঙো সব বজ্রনৌকা।
ঐ গিরিশেখরের মুকুট। ভাঙো হিমালয়।
ভাঙো দেবব্রতচাঁড়াল, পুরোত আর রাজদরবার।
পুছলাম না তর রাজদরবার।
কবি কাহ্নপাদ বলেন- যাবো না।
যাবো না আমি আর রাজদরবারে।
আমি বাঙাল। বাঙালী আমি।
একজন বাঙালী দিবেনা পদধূলি,
তর ঐ রাজদরবারে।
রাজদরবারের প্রতি বর্গফুটে মানুষের রক্ত।
একজন বাঙালী রক্ত মারায়না।
দেখ্। দেখ্ একজন বাঙালী রক্ত মারায়না।
একজন বাঙালী হাতে তুলে নেয়-
সব ব্যাথা, পাপ, রক্ত, প্রতিবাদ।
একজন বাঙালী নীলকণ্ঠী।
একাই সব বিষ ঢেলে দিয়ে নিজ গলায়,
মানুষ বরন করি।
আমি আজ বাঙালী।
আর তুমি পুরোত, রাজদরবারে।
আমি শিব-হরহরি, বাঙাল-বাঙালী।
০৬.১১.২০০৯
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
06 June 2016
অনঘ অররু ২
যদি তোমার চুলের গন্ধে,
ঘুম না আসে আমার,
আমার মাথায় হাতটি রেখে,
ঘুমিয়ে দিও আবার।
যদি কোনো জোসনারাতে,
আমার প্রাণ যায় ছুটে যায়,
তুমি তারে এনে রেখো,
তোমার মনের গহীন কোনায়।
যদি কোনো গাছের শাখে,
আমার প্রাণটা পাতার সাথে দুলে,
তুমি তারে ছিনিয়ে এনো,
মায়ার বাঁধন খুলে।
২২.০৭.২০০৯
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
ঘুম না আসে আমার,
আমার মাথায় হাতটি রেখে,
ঘুমিয়ে দিও আবার।
যদি কোনো জোসনারাতে,
আমার প্রাণ যায় ছুটে যায়,
তুমি তারে এনে রেখো,
তোমার মনের গহীন কোনায়।
যদি কোনো গাছের শাখে,
আমার প্রাণটা পাতার সাথে দুলে,
তুমি তারে ছিনিয়ে এনো,
মায়ার বাঁধন খুলে।
২২.০৭.২০০৯
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
সূচনা
অথবা অদ্ভুত এক
ইন্দ্রজাল ছড়িয়ে দেবো।
তোমাদের পায়ে,
তোমাদের পায়ে লেগে,
পরে যাবে তোমরা
কোনো গভীর সমুদ্রে।
কূলহীন সে সমুদ্র
দেখাবে তোমাদের,
এক অসম্ভব অসুন্দর।
আর তোমরা চিনবে,
সে মূল উৎস।
ঠিক চিনে নিবে
এক ইন্দ্রজালের ঝর্ণাধারা।
একজন কবি।
১৯.০২.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
ইন্দ্রজাল ছড়িয়ে দেবো।
তোমাদের পায়ে,
তোমাদের পায়ে লেগে,
পরে যাবে তোমরা
কোনো গভীর সমুদ্রে।
কূলহীন সে সমুদ্র
দেখাবে তোমাদের,
এক অসম্ভব অসুন্দর।
আর তোমরা চিনবে,
সে মূল উৎস।
ঠিক চিনে নিবে
এক ইন্দ্রজালের ঝর্ণাধারা।
একজন কবি।
১৯.০২.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
কেবল রক্ত
সুরাসুরের দ্বন্দ্বে সকল গরীব পরে মারা।
রক্ত কেবল রক্ত। কেবল রক্ত।
দেবতারা সব অমৃত পায়,
রাক্ষসে পায় বিষ।
জনগণ লবডংকা।
অপ্সরা আসে। সুরেরা দেয়, অসুরেরা পায়।
কি নিগুঢ় দোস্তি!
সুরাসুর সব ভাগ করে নেয়।
জনগণের হিসাব,
লাভের খাতায় বাকী থাক।
জগতের সব সুরাসুর নেক।
সব নিয়ে যাক ভাগ করে।
জনগণের জন্য কেবল থাকবে,
রক্ত। কেবল রক্ত। কেবল রক্ত।
কেবল স্বর্গ। কেবল রক্ত।
২২.১০.২০০৯
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
রক্ত কেবল রক্ত। কেবল রক্ত।
দেবতারা সব অমৃত পায়,
রাক্ষসে পায় বিষ।
জনগণ লবডংকা।
অপ্সরা আসে। সুরেরা দেয়, অসুরেরা পায়।
কি নিগুঢ় দোস্তি!
সুরাসুর সব ভাগ করে নেয়।
জনগণের হিসাব,
লাভের খাতায় বাকী থাক।
জগতের সব সুরাসুর নেক।
সব নিয়ে যাক ভাগ করে।
জনগণের জন্য কেবল থাকবে,
রক্ত। কেবল রক্ত। কেবল রক্ত।
কেবল স্বর্গ। কেবল রক্ত।
২২.১০.২০০৯
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
05 June 2016
গন্তব্য
তৃতীয় রজনীতে স্বপ্ন দেখে ঘুমোতে যাই আমি।
নিঃসঙ্গ আলিঙ্গন হতে মুক্তির বাসনায় জাগি।
যেখানে বাঁধন ঢিলে হয়, সেখানেই কি মুক্তি?
জোয়ার আর ভাটা, ভাটা আর জোয়ার।
একজনের পর একজন। সুমধুর সুর তোলে।
অদ্ভুত ঐকতান তোলে। পরস্পর পরস্পরে।
তবু তো তারা এক নয়। পরস্পর বিরোধী।
স্নেহের গভীরতায় আমরা ভুলি পুরাতনকে।
অস্বাভাবিকতাই হয় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
আমরা তবু মুক্তি খুঁজি। মুক্তি কিসে?
নিত্য এ অনিত্যে বাঁধা দেবার কিছু আছে কি?
নিয়ত পরিবর্তনশীল ক্রমচলমান নিয়তি।
আমরা এগিয়ে যাই। কোথায়? জানিনা।
তবু চিন্তা রাখো, দীপ্ত পায়ে পতনের।
১১.১১.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
নিঃসঙ্গ আলিঙ্গন হতে মুক্তির বাসনায় জাগি।
যেখানে বাঁধন ঢিলে হয়, সেখানেই কি মুক্তি?
জোয়ার আর ভাটা, ভাটা আর জোয়ার।
একজনের পর একজন। সুমধুর সুর তোলে।
অদ্ভুত ঐকতান তোলে। পরস্পর পরস্পরে।
তবু তো তারা এক নয়। পরস্পর বিরোধী।
স্নেহের গভীরতায় আমরা ভুলি পুরাতনকে।
অস্বাভাবিকতাই হয় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
আমরা তবু মুক্তি খুঁজি। মুক্তি কিসে?
নিত্য এ অনিত্যে বাঁধা দেবার কিছু আছে কি?
নিয়ত পরিবর্তনশীল ক্রমচলমান নিয়তি।
আমরা এগিয়ে যাই। কোথায়? জানিনা।
তবু চিন্তা রাখো, দীপ্ত পায়ে পতনের।
১১.১১.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
তখন
যখন সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দেবো তখন...
তখন তোমরা কী করবে? তখন...
না হাসবে...
না কাঁদবে...
না হাসতে পারবে...
না কাঁদতে পারবে...
তখন,
তোমাদের অনুভূতির কেন্দ্রস্থলে রবে শুধু
এক রঙ জ্বলা মরচে ধরা পেরেক...
তোমরা...
না হাসবে...
না কাঁদবে...
১৩.০১.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
তখন তোমরা কী করবে? তখন...
না হাসবে...
না কাঁদবে...
না হাসতে পারবে...
না কাঁদতে পারবে...
তখন,
তোমাদের অনুভূতির কেন্দ্রস্থলে রবে শুধু
এক রঙ জ্বলা মরচে ধরা পেরেক...
তোমরা...
না হাসবে...
না কাঁদবে...
১৩.০১.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
03 June 2016
নৈর্ঋত
অদ্ভুত সময়ে... পাশাপাশি বয়ে চলা... সস্তা বিজ্ঞাপনের দৃশ্যের মতো... আনন্দ বেদনার কথায়... যাদের মুখভঙ্গি পরিবর্তিত হয় না। গলায় কাপড়ের শেকল... পরেও যারা নিজেদের... প্রভু ভাবে... যারা ভাবে... তারাই উপর তলার মানুষ। বাকীরা জীবনযুদ্ধে পরাস্ত... অপরাধী সৈনিক। অবিন্যস্ত চুলে আর কাপড়ে... যারা মর্মবেদনা উপলব্ধি করে। যারা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ... টের পায় না। টের পায় না... ভেতরে কি হচ্ছে... যাদের করোটির খাঁচা একটি শুন্যবাক্সে রূপান্তরিত হয়... এটাই স্বার্থকতা। স্বার্থে... চতুরতায়... মোহ আর ছলনায় যারা জয়ী। পাশে একটা পুতুল... পতিতার মতো সাজিয়ে... যারা মুক্তি খোঁজে... নিজের এবং পুতুলের...
সত্যি... বড় বিচিত্র এ সময়... পাশাপাশি বয়ে চলে...
২৪.০৪.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
অনঘ অররু
তোমার চুলের গন্ধে আমি স্বপ্ন দেখি অনর্গল,
তোমার মিষ্টি কথার যাদু করে, আমার বুকে চলাচল।
তোমার কষ্টে আমার সুখ, এক নিমেষে বন্ধ হয়,
তোমার সুখে আমার বুকে, দোটানার এক দ্বন্দ্ব হয়।
তোমার জন্য চত্ত্বরে চার ঘন্টা বসতে পারি,
তোমার নামে সারাদিন কাব্যাংক কষতে পারি।
তোমার হাসি আমার ফাঁসি, আমার বুকে বিঁধে কাঁটা,
এদিক চেয়ে একটু হাসো, বিলিয়ে দেবো এ বিশ্বটা।
তোমার দেয়া ফুলটা আমি, ভুল করে যেই রাখলাম,
তোমার দেয়া ভালোবাসা যক্ষের ধন ডাকলাম।
তোমার ডাকা মিষ্টি ডাক, আমার বুকে ডাকে বান,
আমার আশা ধূলায় মিশে, স্বপ্ন ভেঙে খানখান।
তুমি যদি এদিক তাকাও, বিশ্বনিখিল সফল হয়,
মুখ ফিরিয়ে নিলে তুমি, মনটা বেদখল হয়।
২৮.০৩.২০০৮
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
তোমার মিষ্টি কথার যাদু করে, আমার বুকে চলাচল।
তোমার কষ্টে আমার সুখ, এক নিমেষে বন্ধ হয়,
তোমার সুখে আমার বুকে, দোটানার এক দ্বন্দ্ব হয়।
তোমার জন্য চত্ত্বরে চার ঘন্টা বসতে পারি,
তোমার নামে সারাদিন কাব্যাংক কষতে পারি।
তোমার হাসি আমার ফাঁসি, আমার বুকে বিঁধে কাঁটা,
এদিক চেয়ে একটু হাসো, বিলিয়ে দেবো এ বিশ্বটা।
তোমার দেয়া ফুলটা আমি, ভুল করে যেই রাখলাম,
তোমার দেয়া ভালোবাসা যক্ষের ধন ডাকলাম।
তোমার ডাকা মিষ্টি ডাক, আমার বুকে ডাকে বান,
আমার আশা ধূলায় মিশে, স্বপ্ন ভেঙে খানখান।
তুমি যদি এদিক তাকাও, বিশ্বনিখিল সফল হয়,
মুখ ফিরিয়ে নিলে তুমি, মনটা বেদখল হয়।
২৮.০৩.২০০৮
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
বিচ্ছিন্ন পদাবলী
রাত্তিরে এক অন্যরকম
গাছের ছবি দেখি,
রাত্তিরে এক অন্যরকম
পাতার ছায়া আঁকি।
রাত্তিরে এক অন্যরকম
সুগন্ধ আসে ভেসে,
রাত্তিরে এক অন্যরকম
জান্নাত কাছে আসে।
স্মৃতির পাতায় বসবাস করি
স্মৃতির সাথে হাত ধরাধরি
সুখদুঃখের লালন করি
সেই স্মৃতি হোক বিস্মৃতি।
যখন আমি থমকে থাকি
গাছের নিচে নদীর পাড়ে,
ধোঁয়াচ্ছন্ন পৃথিবী তখন
আর সকলি আমায় ছাড়ে।
২৪.০৯.২০০৮
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
গাছের ছবি দেখি,
রাত্তিরে এক অন্যরকম
পাতার ছায়া আঁকি।
রাত্তিরে এক অন্যরকম
সুগন্ধ আসে ভেসে,
রাত্তিরে এক অন্যরকম
জান্নাত কাছে আসে।
স্মৃতির পাতায় বসবাস করি
স্মৃতির সাথে হাত ধরাধরি
সুখদুঃখের লালন করি
সেই স্মৃতি হোক বিস্মৃতি।
যখন আমি থমকে থাকি
গাছের নিচে নদীর পাড়ে,
ধোঁয়াচ্ছন্ন পৃথিবী তখন
আর সকলি আমায় ছাড়ে।
২৪.০৯.২০০৮
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
প্রতিক্ষা
আজো মোহাচ্ছন্নের মতো
তোমার কণ্ঠস্বর শোনার
প্রতিক্ষায় থাকি।
অথবা চুরি করতে চাই
প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি কথা।
মরা পাতা ঝরে যায়
শেষকালটায়, তবু আমি
বসি থাকি ঠায়,
কাঁঠালগাছেরই নিচে।
১০.০১.২০০৯
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
তোমার কণ্ঠস্বর শোনার
প্রতিক্ষায় থাকি।
অথবা চুরি করতে চাই
প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি কথা।
মরা পাতা ঝরে যায়
শেষকালটায়, তবু আমি
বসি থাকি ঠায়,
কাঁঠালগাছেরই নিচে।
১০.০১.২০০৯
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
একজন রিক্সামামা
আমরা তার পিছন দিক দেখি।
অথবা তাকে সামনের দিকে দেখতে চাই না।
লাল-সাদা, গ্রামীণ চেক, চক্রাবক্রা
চলন্ত বাতাসে উড়তে উড়তে আমরা দেখি।
ও না, আমরাতো দেখি না।
আমাদের চোখের সামনে পরে।
আবার কখনো তাও চোখে পরে না।
'মামা ব্যাস'। আমরা বাকী টাকা ফেরত নেই।
কখনো কখনো চোখ তুলে তাকাই যদি,
দেখা যায়, ক্লান্ত ধূসর চোখ।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ। পুষ্টির অভাব।
অভাবে জীর্ণ, লালচে চুল।
অযত্নে গজিয়ে উঠা কাঁচা পাকা দাড়ি।
কপালভর্তি ঘাম মুছতে মুছতে
যিনি বলেন- 'মামা দুইটা টাকা বাড়ায়া দেন'।
০১.১১.২০০৮
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
অথবা তাকে সামনের দিকে দেখতে চাই না।
লাল-সাদা, গ্রামীণ চেক, চক্রাবক্রা
চলন্ত বাতাসে উড়তে উড়তে আমরা দেখি।
ও না, আমরাতো দেখি না।
আমাদের চোখের সামনে পরে।
আবার কখনো তাও চোখে পরে না।
'মামা ব্যাস'। আমরা বাকী টাকা ফেরত নেই।
কখনো কখনো চোখ তুলে তাকাই যদি,
দেখা যায়, ক্লান্ত ধূসর চোখ।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ। পুষ্টির অভাব।
অভাবে জীর্ণ, লালচে চুল।
অযত্নে গজিয়ে উঠা কাঁচা পাকা দাড়ি।
কপালভর্তি ঘাম মুছতে মুছতে
যিনি বলেন- 'মামা দুইটা টাকা বাড়ায়া দেন'।
০১.১১.২০০৮
[এটি একটি কবিতার বই/২০১০]
02 June 2016
গোপন ভাষণ
দীর্ঘ তন্দ্রার পর জেগে দেখি, আমি মৃত কোনো গোপন সত্ত্বা। মৃত্যুর স্বাদের মতো পার্শ্বছেদিত। সত্যি সকল কথা গোপনীয় নয়। মৃত্যুর স্বাদের মতো পুরাতন স্বাদ নেই। জন্মের স্বাদতো নতুনই কেবল। কে জানে গোপন কথা? যদি না কয় কেউ। গোপনই থাকুক সব সত্য ভাষণ। সত্ত্বাদের মতোন।
যে সত্ত্বারা রোজ রোজ মারা যায়, দাহ হয় রোজ রাতে চোখের ভেতর। আমিও পথিক পুরাতন পথের। আমার মতোন হোক কেবলই কৃষ্ণবর্ণ রাত। কে জানে সত্য কোথায়? মৃত্যুতেই তো সত্য লুকায়। আমি মৃত্যুর পথে খুঁজি সত্যের পথ। আমি নিরন্তর এক যাত্রায় সঁপেছি শপথ।
আমার পথেই থাক গোপন ভাষণ। জানি না কোনো আর্যসত্য। কোনোদিন জানিনি।
০৭.১২.২০১১
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
এই ব্যথা ভয়
যে থাকে থাকুক এই অসুস্থ নগরে!
আমি নই...
আর এর সাথী।
হারানো ফুলের মতো...
আমি শুধু একজনই হারাবো।
এ নগর হতে অন্য কোথাও।
যেখানে থাকবে না কোনো...
ব্যথা ভয়... অমূলক।
তীব্র দহনযন্ত্রণা থেকে...
মুক্তির পথে অনুসন্ধিৎসু...
পথিক গোলকধাঁধায়...
ঘুরি অন্তহীন জীবন।
সুতরাং,
এই ব্যথা ভয় অমূলক।
২৩.১০.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
আমি নই...
আর এর সাথী।
হারানো ফুলের মতো...
আমি শুধু একজনই হারাবো।
এ নগর হতে অন্য কোথাও।
যেখানে থাকবে না কোনো...
ব্যথা ভয়... অমূলক।
তীব্র দহনযন্ত্রণা থেকে...
মুক্তির পথে অনুসন্ধিৎসু...
পথিক গোলকধাঁধায়...
ঘুরি অন্তহীন জীবন।
সুতরাং,
এই ব্যথা ভয় অমূলক।
২৩.১০.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
অন্ধকার ও আলো
একজন অন্ধ লোক।
তাকে কিভাবে বোঝানো সম্ভব? এটা আলো...
তার কাছে আলো এবং অন্ধকার পৃথক নয়।
তাকে কিভাবে বলবো?
তুমি যা দেখছো, তারই নাম অন্ধকার।
আলো অন্য জিনিস। তুমি আলো চেনো না।
অন্ধ চিৎকার করলো।
তোমরাই জানো না আলো কি? মূর্খের দল।
আমি জানি, আমি বুঝি, আমি দেখি।
আমি যা দেখি, তাই আলো।
আর তোমরা যা দেখো, তাই অন্ধকার।
নিজের জ্বলন্ত জগতে বিচরণের নামই আলো।
আর নিজের বাইরে আলোর অনুসন্ধান,
তারই নাম অন্ধকার।
আর এটাই ঈশ্বরের বিধান।
০৪.০২.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
তাকে কিভাবে বোঝানো সম্ভব? এটা আলো...
তার কাছে আলো এবং অন্ধকার পৃথক নয়।
তাকে কিভাবে বলবো?
তুমি যা দেখছো, তারই নাম অন্ধকার।
আলো অন্য জিনিস। তুমি আলো চেনো না।
অন্ধ চিৎকার করলো।
তোমরাই জানো না আলো কি? মূর্খের দল।
আমি জানি, আমি বুঝি, আমি দেখি।
আমি যা দেখি, তাই আলো।
আর তোমরা যা দেখো, তাই অন্ধকার।
নিজের জ্বলন্ত জগতে বিচরণের নামই আলো।
আর নিজের বাইরে আলোর অনুসন্ধান,
তারই নাম অন্ধকার।
আর এটাই ঈশ্বরের বিধান।
০৪.০২.২০১০
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
প্রণালী
আমরা কোথায় যেনো হারায়াছি পথ...
কোথায়? কোথায় তাও খুঁজে হয়রান...
সে পথ ছিলো, নাকি ছিলো না কোনোকালে?
অথবা হারাচ্ছে, রোজ পথ নোনাজলে...
অথচ হাঁটতে চাই, ত্রস্ত পুরাণ...
১৭.০৮.২০১১
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
কোথায়? কোথায় তাও খুঁজে হয়রান...
সে পথ ছিলো, নাকি ছিলো না কোনোকালে?
অথবা হারাচ্ছে, রোজ পথ নোনাজলে...
অথচ হাঁটতে চাই, ত্রস্ত পুরাণ...
১৭.০৮.২০১১
[শব্দসত্যসুন্দরম্/২০১৩]
Subscribe to:
Posts (Atom)